সিবিএন ডেস্ক
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সাদেক কাওছার দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিলেটের একটি আদালত।
সাদেক কাওছার দস্তগীর সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছিলেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত।বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।
বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল মোমেন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রিমান্ড শুনানির সময় আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তৃতীয় তলায় সিঁড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত সাদেক কাওছার দস্তগীরকে কিল-ঘুষি মারেন কিছু উত্তেজিত জনতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাকে নিরাপদে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। তিনি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রথমে নিহত তুরাবের ভাই আবুল আহসান মোহাম্মদ আজরফ থানায় অভিযোগ করলে তা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ১৯ আগস্ট তিনি আদালতে হত্যা মামলা করেন, যাতে সাদেক কাওছারসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সিলেটের ইন্সপেক্টর মো. মুরসালিন জানান, “সাদেক কাওছারের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত পাঁচ দিনের অনুমতি দিয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিক তুরাবের হত্যাকাণ্ড সিলেটের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়েও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এটি বিচারপ্রার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বিবেচিত হচ্ছে।
